Header Ads

ফোন রুট কি? কিভাবে রুট করবেন? রুট করার আগে করণীয় এবং রুটের সুবিধা-অসুবিধা

হ্যালো বন্ধুরা! সবাই কেমন আছো? আশা করি সবাই ভালো আছো।আপনাদের সবাই ট্রিকবিডিতে স্বাগত জানাই।আজকে আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি নতুন একটি ট্রিক নিয়ে।

তো বন্ধুরা,আজকে আমি আপনাদের সাথে যে বিষয়টি আলোচনা করতে যাচ্ছি তা হলো- ফোন রুট কি? কিভাবে রুট করবেন? রুটের সুবিধা ও অসুবিধা কি কি? তো বন্ধুরা আপনারা পোস্ট টি পড়বেন।আশা করি পোস্ট টি আপনাদের ভালো লাগবে।


রুট কি?


বর্তমানে রুট শব্দটি আমাদের কাছে এতোটাই পরিচিত হয়ে গেছে যে এটাকে আমরা রুট ইউজার বলার পরিবর্তে সরাসরি রুট বলি। সহজ ভাবে বলা যায়,রুট হলো একটি এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর বা
প্রশাসক।এটার বাংলা অর্থ হলো গাছের শিকড়।আসলে রুট বলতে সেই পারমিশনকে বুঝায় যেটার মাধ্যমে ব্যবহারকারীকে সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী করে তোলা হয়।রুট হলো একটি এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন পারমিশন বা অনুমিত। এই অনুমিত যদি আপনার ডিভাইসে থাকে তাহলে আপনি যেটা ইচ্ছা করতে পারবেন। যারা উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহারকারী তারা এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর প্রিভিলেজ ছাড়া কখনো সিস্টেম ফাইল গুলো নিয়ে কাজ করতে পারবেন না। ঠিক এমনি ভাবে লিনাক্সেও রুট অনুমিত ইউজার ছাড়া সিস্টেম এ্যাডমিনিষ্ট্রেটর কাজ গুলো করা যায় না। লিনাক্সে চালিত সার্ভারে আপনি যা ইচ্ছা করতে পারবেন। এক কথায় যার সব কিছু করার অনুমতি রয়েছে তাকে রুট ইউজার বা রুট বলা হয়।আশাকরি, অনেক সহজে বুঝতে পারছেন যে রুট কি? বা রুট কাকে বলে?

মোবাইল রুট করার নিয়ম


কম্পিউটার ছাড়া আগের সময়ে যখন কেউ রুট করার কথা ভাবতো তখন কম্পিউটার প্রয়োজন হতো।কিন্ত বর্তমানে আপনি রুট করার জন্য এমন অনেক ধরনের rooting apps পেয়ে যাবেন যার মাধ্যমে ৫ মিনিটের মধ্যে নিজের এন্ড্রয়েড ডিভাইস রুট করে নিতে পারবেন। এই মাধ্যম গুলো হলো
এন্ড্রয়েড মোবাইল সহজে
রুট করার সেরা উপায়।ফোন root করার এই অ্যাপস গুলো আপনারা google play store থেকে বা গুগল সার্চ করে সহজে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।আমি আজকে আপনাদের এমন ৩ টি মোবাইল রুট করার অ্যাপের বিষয়ে বলবো যার মাধ্যমে সহজে Android mobile root করতে পারবেন।এর জন্য প্রথমে এপস গুলো মোবাইলে ডাউনলোড করে ইনস্টল করুন এবং প্রয়োজনীয় স্টেপস গুলো ফলো (follow) করুন।
মোবাইল রুট করার আগে আপনাদের কিছু বিষয়ে আগে থেকে নজর দিতে হবে। এই বিশেষ নিয়ম গুলো আমি আপনাদের বলবো।তাহলে চলুন নিচে থেকে জেনে আসি android রুট করার অ্যাপস গুলোর ব্যাপারে।

১. king root


king root android appযেকোনো এন্ড্রয়েড মোবাইল রুট করার সব চেয়ে সেরা এবং ভালো অ্যাপ্লিকেশন হিসাবে প্রমাণীত হয়েছে। কিং রুট অ্যাপ মোবাইলের রুটিং প্রসেস অনেক সহজে সুরক্ষিত ভাবে সম্পন্ন করে।মোবাইল রুট করার যত গুলো এপস রয়েছে তার মধ্যে সব চেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় এই অ্যাপটি। এই অ্যাপ্লিকেশন google play store থেকে সহজে ডাউনলোড করতে পারবেন এবং এটার মাধ্যমে কম্পিউটার ছাড়া নিজের মোবাইল কে রুট করে নিতে পারবেন।

২. SuperSU – one click root


SuperSU মোবাইল রুটিং অ্যাপ এর ব্যাপারে আপনারা গুগলে সার্চ করলে সহজে ডাউনলোড লিংক পেয়ে যাবেন। আমি এই অ্যাপের মাধ্যমে আমার নিজের স্যামসাং মোবাইল রুট করে ছিলাম। কোনো রকম ঝামেলা ছাড়া একটি মাত্র ক্লিকে আমার এন্ড্রয়েড মোবাইল সফল ভাবে রুট হয়ে গিয়েছিলো। তাই আপনি যদি রুট করার কথা ভাবেন,কিভাবে মোবাইল রুট করবো তাহালে এই SuperSU app ব্যবহার করে দেখুন।

৩.FamaRoot


Famaroot app এর মাধ্যমে আপনি মাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে এন্ড্রয়েড ফোন রুট করে নিতে পারবেন। এই অ্যাপটি আপনি google play store থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন না। play store এই অ্যাপ নেই।তবে, গুগলে সার্চ করে আপনি অনেক রকমের ওয়েবসাইট থেকে FamaRoot app download করতে পারবেন।smartphone root করার জন্য এই অ্যাপটি আপনার কাজে আসবে কিনা সেটা এটা ব্যবহার করলে জানতে পারবেন।

মোবাইল রুট করার আগে করণীয়


>> মোবাইল রুট করার আগে ফোনের চার্জ মিনিমাম ৭০% থাকতে হবে। এতে আপনার rooting process এ কোনো রকম সমস্যা হবে না।

>> রুট করার আগে মোবাইলের সব প্রয়োজনীয় ফাইল, গান, ছবি ব্যাকআপ নিয়ে রাখবেন।

>> উপরের দেওয়া অ্যাপস গুলোর মধ্যে আপনি যেটা দিয়ে মোবাইল রুট করবেন সেটা অবশ্যই ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে ইনস্টল করতে হবে।

>> রুট করা অ্যাপটি ওপেন করে তাতে দেওয়া স্টেপ গুলো ফলো (follow) করে নিজের smartphone রুট করুন।

রুট করার সুবিধা


>> পারফরমেন্স বাড়ানোঃ
বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করে ডিভাইসের অব্যবহৃত ফাইল, টেমপোরারি ফাইল ইত্যাদি নিয়মিত মুছে ফোনের গতি ঠিক রাখা।

>> ওভারক্লকিং করাঃ
সিপিইউ স্পিড স্বাভাবিক অবস্থায় যতটা থাকে তার চেয়ে বেশি দ্রুত কাজ করানো।এর মাধ্যমে কোনো বিশেষ কাজে প্রসেসরের গতি বাড়ানোর প্রয়োজন পড়লে তা করা যায়।

>> আন্ডারক্লকিং করাঃ
যখন ডিভাইস এমনিতেই পড়ে থাকে, তখন সিপিইউ যেন অযথা কাজ না করে যে জন্য এর কাজের ক্ষমতা কমিয়ে আনা।এতে করে ব্যাটারি ব্যাকআপ বাড়ানো সম্ভব।

>> কাস্টম ইউআই: আপনার ডিভাইসের হোমস্ক্রিন,লক স্ক্রিন, মেনু ইত্যাদি বিভিন্ন ইউজার ইন্টারফেসের ডিজাইন একটা সময় পর আর ভালো নাও লাগতে পারে। তখন আপনি ডিভাইসে নতুনত্ব আনতে পারবেন নতুন সব কাস্টম ইউজার
ইন্টারফেসের মাধ্যমে।এগুলোকে অন্যভাবে রমও বলা হয়।

>> কাস্টম রম:
অনেক ডেভেলপার বিভিন্ন জনপ্রিয় ডিভাইসের জন্য কাস্টম রম তৈরি করে থাকেন। এসব রম ইন্সটল করে আপনি আপনার সেটকে সম্পূর্ণ নতুন একটি সেটের রূপ দিতে পারবেন। বাইরে থেকে অবশ্যই এর ডানা-পাখনা গজাবে না বা ক্যামেরা ৫ মেগাপিক্সেল থেকে ৮ মেগাপিক্সেল হবে না,কিন্তু ভেতরের ডিজাইন ও ক্ষেত্রবিশেষে পারফরম্যান্সেও আসবে আমূল পরিবর্তন।

রুট করার অসুবিধা


Mobile Root করার ফলে, তেমন কোনো বিশেষ ক্ষতি আপনার মোবাইলে হওয়ার সুযোগ অনেক কম থাকে।কিন্তু,আবার দেখা গেছে অনেকের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে মোবাইলে।

>> মোবাইল রুট করার ফলে আপনার মোবাইলের warranty শেষ হয়ে যাবে।

>> Root করার ফলে OS থেকে অটোমেটিক আপডেট নাও আসতে পারে।

>> ফোন রুট করার সময় অবশ্যই ভালো করে স্টেপস গুলো পড়ে বুঝে ফলো করুন। না হলে ফোনটি চিরকালের জন্য নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

>> root করার ফলে আপনার মোবাইলে নানা ধরনের ক্ষতিকারক ভাইরাস আক্রমন করতে পারে। যার ফলে মোবাইলের অনেক বড় ক্ষতি হতে পারে।আমার নিজের ফোনটি রুট করার ফলে অনেক স্লো হয়ে গেছিলো। তাই আপনার ফোনও স্লো হয়ে যেতে পারে।

আশা করছি সবাই লেখাগুলো বুঝতে পেরেছেন।যদি আমার কোনো ভুল-ভ্রান্তি হয় তাহলে ক্ষমা করে দিবেন।আর যদি কোনো বিষয় বুঝতে না পারেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন।আমি খুব শীঘ্রই উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবো।

তো বন্ধুরা, আজকে এ পর্যন্তই,সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ্য থাকবেন।আবারও কোনো এক সময় হাজির হয়ে যাব আপনাদের কাছে অন্যকিছু ট্রিকস-টিপস নিয়ে।

No comments

Write Here your Comment Please

Powered by Blogger.